শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর
জেল থেকেও এরশাদের সংসদ জয়। কালের খবর

জেল থেকেও এরশাদের সংসদ জয়। কালের খবর

কালের খবর রিপোর্ট :

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দুই সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সকালে ৮৯ বছর বয়সী সাবেক এ রাষ্ট্রপতির জীবনাবসান ঘটে।

দেশের রাজনীতিতে সবসময় আলোচিত ছিলেন এরশাদ। সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহন করে টানা ৯ বছর দেশ পরিচালনার পর আমৃত্যু রাজনীতিতে টিকে ছিলেন তিনি।

১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে এরশাদ পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বাছাই এ কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাদ না পড়ায় বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ জন। চারজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১২ জন ছিল।

টানা নয় বছর দেশ পরিচালনা করে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে দেন এরশাদ। ক্ষমতা ছাড়ার পর গ্রেফতার হন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি কারাগার থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। রংপুর-২, রংপুর-৩, রংপুর-৫, রংপুর-৬ ও কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সবগুলোতে জয়ী হওয়ারপর এরশাদ রংপুর-৩ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন। ফলে বাকি চার আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত কারারুদ্ধ থাকেন এরশাদ।

এদিকে ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ওই সময় জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

ছয় বছর জেলে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে আদালতের রায়ে দণ্ডিত হওয়ার কারণে সংসদে তার আসন বাতিল হয়ে যায়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপির ও এর নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। ১৫৩টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলো।

নির্বাচনে ৩৪টি আসন পেয়ে এরশাদের জাতীয় পার্টি হয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল। এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ আসন পায় এরশাদের জাতীয় পার্টি। পরে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com